৩০টিরও বেশি বন্ধুত্বপূর্ণ ও নিরপেক্ষ দেশ, ব্যাংক এবং ব্রোকারের একটি তালিকা অনুমোদন করেছে রাশিয়া সরকার। তালিকায় থাকা দেশগুলোকে রাশিয়ান মুদ্রাবাজার এবং ডেরিভেটিভস বাজারে বাণিজ্য করার অনুমতি দেবে মস্কো। এ তালিকায় নাম রয়েছে বাংলাদেশের।
শনিবার ঢাকার রাশিয়া দূতাবাস তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক বার্তায় এ তথ্য জানায়।
তালিকায় থাকা দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে– আর্মেনিয়া, আজারবাইজান, বেলারুশ, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, উজবেকিস্তান, আলজেরিয়া, বাংলাদেশ, বাহরাইন, ব্রাজিল, ভেনেজুয়েলা, ভিয়েতনাম, মিশর, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, কাতার, চীন, কিউবা, মালয়েশিয়া, মরক্কো, মঙ্গোলিয়া, ওমান, পাকিস্তান, সৌদি আরব, সার্বিয়া, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত।
এদিকে রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, এমন সময়ে এই সিদ্ধান্ত নিল রাশিয়া যখন গত ১৭ মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দুর্বল অবস্থায় রয়েছে দেশটির মুদ্রা রুবলের মান। এ অবস্থা থেকে উত্তোরণের জন্য ব্যাংক সুদের হার ১৩ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়েছে রাশিয়া।
কোভিড-১৯ মহামারির কারণে মহামারি-পরবর্তী সময়ে এমনিতেই চাপে রয়েছে বিশ্বের প্রায় সব দেশের অর্থনীতি। এর মধ্যে ইউক্রেনে হামলার পর ভূ-রাজনৈতিক কারণে আরও দুর্বল হয়েছে দেশটির মুদ্রা রুবল।
সমস্যা থেকে বের হতে গত ২৫ সেপ্টেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে দিরহাম-রুবল আন্তঃবিনিময় চুক্তিতে লেনদেন শুরু করে রাশিয়া।
এর আগে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলার পর কোন কোন দেশ রাশিয়ার বন্ধু, আর কোন কোন দেশ তাদের বন্ধু নয়— এমন একটি তালিকা প্রকাশ করেছে পুতিন প্রশাসন।
ইউক্রেনে আগ্রাসনের পর থেকে যেসব দেশ ও অঞ্চল রাশিয়ার বিরুদ্ধে অবন্ধুসুলভ পদক্ষেপ নিয়েছে, তাদের ‘নেতিবাচক তালিকায়’ রাখা হয়। বন্ধু নয়, এমন দেশ ও অঞ্চলের সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বা নাগরিকদের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক পর্যালোচনা করা হবে বলে সেসময় জানায় ক্রেমলিন। এমনকি রাশিয়ায় ওইসব দেশের দূতাবাসে কর্মী নিয়োগেও কড়াকড়ি আরোপ করে দেশটির প্রশাসন।