ফিলিস্তিনের গাজার শাসক দল হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ দুদিন বাড়ার প্রেক্ষাপটে আরও ৩৩ বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল।
আগের যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হয় সোমবার, এর পর নতুন করে মঙ্গল ও বুধবারের জন্য যুদ্ধে বিরতি দিতে সম্মত হয় দু পক্ষ। এরই অংশ হিসেবে ওই বন্দিদের মুক্তি দেয়া হয়।
রয়টার্স জানিয়েছে, ইসরায়েল থেকে মোট ৩০টি শিশু ও দুজন নারীকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। তবে এখনও নতুন করে আর কাউকে হামাসের পক্ষ থেকে মুক্তির তথ্য আসেনি।
এর আগে সোমবার গাজার শাসক দল হামাস বিবৃতিতে জানিয়েছে, কাতার ও মিসরের সঙ্গে হওয়া চুক্তি অনুযায়ী সাময়িক যুদ্ধবিরতি দুই দিন বাড়ানো হয়েছে।
রাশওয়ানের বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানায়, যুদ্ধবিরতি দুই দিন বাড়ানোর চুক্তির মধ্যে রয়েছে হামাসের কাছে থাকা ইসরায়েলের ২০ বন্দি এবং ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি ৬০ ফিলিস্তিনির মুক্তির বিষয়টি।
ইসরায়েলে ঢুকে হামাস গত ৭ অক্টোবর আকস্মিক হামলা চালায়। ওই হামলার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় টানা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। হামলা শুরুর পর ৯ অক্টোবর গাজায় সর্বাত্মক অবরোধের ঘোষণা দিয়েছে দেশটি।
টানা হামলার শিকার গাজায় খাবার, পানি, ওষুধ ও জ্বালানির সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় কদিন আগে মিশরের রাফা ক্রসিং দিয়ে কয়েকটি ত্রাণবাহী ট্রাক ঢুকেছে ওই উপত্যকতায়।
এতদিন গাজায় জ্বালানি প্রবেশে ইসরায়েলের অনুমতি ছিল না। বিভিন্ন সংস্থা ও আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে সম্প্রতি শুধু হাসপাতাল ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর জন্য জ্বালানির অনুমতি দেয়া হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে ঢুকেছে কয়েকটি জ্বালানিবাহী ট্রাক।
হামলায় গাজায় প্রাণ যায় কমপক্ষে ১৪ হাজার ৮৫৪ ফিলিস্তিনির। অন্যদিকে হামাসের হামলায় প্রাণ যায় এক হাজার ২০০ ইসরায়েলির। এ অবস্থায় আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টাসহ নানা তৎপরতায় গত শুক্রবার চার দিনের যুদ্ধবিরতি শুরু হয় গাজায়। পরে দুদিন বেড়েছে এই চুক্তির মেয়াদ।
ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী গাজার সীমান্তের বড় অংশই ইসরায়েলের সঙ্গে, বাকিটা মিশরের সঙ্গে। এর দৈর্ঘ্য ৪১ কিলোমিটার এবং প্রশস্ত ১০ কিলোমিটার। প্রায় ২৩ লাখ মানুষ বসবাস করছে গাজায়।