শিরোনাম :

প্রতিদিন নির্বাচনী ব্যয় এবং অর্থের উৎস না জানালে মামলা

প্রতিদিন নির্বাচনী ব্যয় এবং অর্থের উৎস না জানালে মামলা
Admin

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীদের যে কোনো তফসিলি ব্যাংকের একটি নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্ট থেকে নির্বাচনি ব্যয় করতে হবে। সেই অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতিদিনের ব্যয়ের হিসেব দাখিল করতে হবে প্রার্থীদের। এমন নির্দেশনা দিয়ে কোনো প্রার্থী নির্বাচনি ব্যয়ের হিসাব জমা না দিলে তার বিরুদ্ধে মামলা দেয়ার জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তাদের বলেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

রোববার প্রার্থীদের বিষয়গুলো জানাতে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে নির্দেশনা পাঠিয়েছেন ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, প্রত্যেক নির্বাচনি এজেন্টকে অথবা এজেন্ট নিয়োগ করা না হলে প্রার্থী কর্তৃক নিজে নির্বাচনি ব্যয় নির্বাহের জন্য (ব্যক্তিগত ব্যয় ব্যতীত) তফসিলি ব্যাংকে পৃথক অ্যাকাউন্ট প্রয়োজন হবে। সেই ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে ব্যক্তিগত ব্যয় ব্যতীত নির্বাচন সংক্রান্ত ব্যয়ের সমূদয় অর্থ পরিশোধ করতে হবে।

নির্দেশনায় নির্বাচনি ব্যয় দাখিলের ক্ষেত্রে ছয়টি বিষয় উল্লেখ থাকতে হবে-

প্রত্যেক দিন ব্যয় হওয়া অর্থের বিবরণীসহ পরিশোধিত অর্থের সব বিল, রসিদ ও ভাউচার। আদেশের অনুচ্ছেদ ৪৪ খখ এর দফাতে (ক) বর্ণিত তফসিলি ব্যাংকে খোলা অ্যাকাউন্টে জমা অর্থ এবং ওই অ্যাকাউন্ট থেকে উত্তোলিত অর্থের প্রত্যয়িত বিবরণী।

প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কর্তৃক ব্যক্তিগত খরচ, যদি থাকে তা। নির্বাচনি এজেন্ট অবহিত আছেন এমন সব বিতর্কিত দাবির বিবরণী।

নির্বাচনি এজেন্ট অবহিত আছেন এমন সব অপরিশোধিত দাবির একটি বিবরণী। নির্বাচনি খরচের জন্য যে কোন উৎস থেকে প্রাপ্ত সব অর্থপ্রাপ্তির প্রমাণসহ ওই অর্থের প্রত্যেক উৎসের নাম উল্লেখ করে বিবরণী।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, নির্বাচনি ব্যয়ের রিটার্ন দাখিল সংক্রান্ত বিধান সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানিয়ে দেবেন। তারপরও যদি কেউ ওই বিধান কেউ লঙ্ঘন করেন তা হলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

এতে বলা হয়, যে ক্ষেত্রে নির্বাচনের বিরুদ্ধে নির্বাচনি মামলা হবে না, সেক্ষেত্রে অপরাধ সংঘটিত হওয়ার দিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করতে হবে এবং যে নির্বাচনে অপরাধ সংঘটিত হবে যদি ওই নির্বাচন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারাধীন থাকে এবং হাইকোর্ট বিভাগ ওই অপরাধ সম্পর্কে কোনো আদেশ দিলে তার তিন মাসের মধ্যে রিটার্নিং অফিসারকে উপযুক্ত আদালতে মামলা করতে হবে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, মামলার জন্য নির্বাচন কমিশনের পূর্বানুমতির প্রয়োজন নেই। ফলে এ বিষয়ে নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর বিভিন্নভাবে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের অবহিত করে ব্যয়ের রিটার্ন দাখিল নিশ্চিত করা আবশ্যক।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোট হবে। এখন চলছে ইসিতে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র ফেরানোর আপিলের শুনানি। সর্বশেষ রোববার শুনানিতে ৫৬ জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।