শিরোনাম :

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বঙ্গভবনে সিইসি

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বঙ্গভবনে সিইসি
Admin

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বঙ্গভবনে গেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

রোববার বেলা পৌনে ১১টার দিকে বঙ্গভবনে প্রবেশ করেন তিনি। তার সঙ্গে আছেন নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম।

নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীর দায়িত্ব পালন নিয়ে অবহিত করতে এ সাক্ষাৎ।

এর আগে গত ১১ ডিসেম্বর সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের লক্ষ্যে ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত (১৩ দিন) সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে।

আর নির্বাচন কমিশনাররা তার আগে থেকে বলে আসছিলেন নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন হতে পারে। ফলে রোববার সিইসি সে বিষয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে আনুষ্ঠানিক অনুমতি চাইতে পারেন।

বাংলাদেশে পদাধিকার বলে সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক হচ্ছেন রাষ্ট্রপতি। ফলে সারা দেশে নির্বাচনের সময় সেনা মোতায়েনের মতো বড় সিদ্ধান্তে তার অনুমতি আনুষ্ঠানিকভাবে নিতে হয়।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের তফসিল ঘোষণার আগে গত ৯ নভেম্বর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে দেখা করেছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্য কমিশনাররা। সে সময় নির্বাচনের প্রস্তুতির সর্বশেষ অবস্থা তাকে অবহিত করেন সিইসি।

এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর প্রার্থিতার প্রক্রিয়া এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন রোববার। বৈধ প্রার্থীরা এদিন বিকেল ৪টার মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আবেদন করে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে পারবেন।

রাজনৈতিক দলগুলোকে এ সময়ের মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে চিঠি দিয়ে তাদের চূড়ান্ত প্রার্থীর নাম জানিয়ে দিতে হবে। কোনো দল তার দলীয় প্রতীক জোটভুক্ত দলের কোনো প্রার্থীর অনুকূলে বরাদ্দ দিতে চাইলেও সেটা এ সময়ের মধ্যে করতে হবে। আর প্রার্থীদের প্রতীক বিতরণ হবে সোমবার।

এ নির্বাচনে ইসির আপিল শুনানি কার্যক্রম শেষে নির্বাচনে বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা ২ হাজার ২৬০ জন। তবে মোট কত প্রার্থী ভোটের মাঠে থাকছেন তা নির্ধারণ হবে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর।

নির্বাচনি আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী ভোট গ্রহণের তিন সপ্তাহের আগে কোনো প্রার্থী, দল বা তার পক্ষে কেউ নির্বাচনি প্রচারণায় অংশ নিতে পারবে না। ফলে সোমবার থেকে নির্বাচনি প্রচারণার পথ উন্মুক্ত হচ্ছে।

তফসিল অনুযায়ী, ১৭ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। ১৮ ডিসেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করা হবে। আর ৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ।