শিরোনাম :

বিশ্বকাপে কাতারপ্রবাসী বাংলাদেশিদের উচ্ছ্বাস

বিশ্বকাপে কাতারপ্রবাসী বাংলাদেশিদের উচ্ছ্বাস
Admin

বিশ্বকাপে ফুটবলের উন্মাদনা ছুঁয়েছে প্রবাসে থাকা বাংলাদেশিদের। বিশেষ করে কাতারে থাকা বাংলাদেশিরা অনেকেই স্টেডিয়ামে খেলা দেখার সুযোগ হাতছাড়া করছেন না। খেলা দেখাকে ঘিরে একত্রিত হওয়ারও সুযোগ হয়েছে তাদের। অনেকটা দলবেঁধেই খেলা দেখতে যাচ্ছেন তারা। অনেকেই প্রিয় দলের পতাকা নিয়ে যাচ্ছেন, তেমনি সঙ্গে নিচ্ছেন বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকাও। সেই সঙ্গে অনেকেই বাংলাদেশের প্রচলিত ও ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে যাচ্ছেন স্টেডিয়ামে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার রাজারামপুর গ্রামের ফয়সাল আহমেদ জানান, তিনি দীর্ঘদিন থেকে কাতারে থাকেন। ব্রাজিল-ক্যামেরুনের ম্যাচে তার সঙ্গে ছিলেন সুজন, সেলিম, নাসির হোসেন ও কাওসার আলী। সবাই লুঙ্গি পরে, ঘাড়ে গামছা ও মাথায় মাথাল দিয়ে এবং বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে স্টেডিয়ামে যান। এ সময় তিনি দর্শকসারি থেকে একটি ভিডিও রেকর্ড করেন, সেই ভিডিও ফেসবুকে পোস্ট করার পর অনেকেই ধন্যবাদ দিচ্ছেন। সেই সঙ্গে অনেকে শেয়ারও করেছেন।

ফয়সাল আরও জানান, বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে মাঠে যেতে উৎসাহিত করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের হামিদুল্লা উচ্চ বিদ্যালয় এলাকার শামসুল হক। তিনি একসময় ক্রিকেট খেলতেন বলে জানান ফয়সাল। সেই ক্রিকেট পাগল মানুষটি ফয়সালকে মনে করিয়ে দেয় যে বিশ্বকাপ স্টেডিয়ামে যেন অবশ্যই বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে যাই ।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার নামোশংকরবাটি এলাকার কাতারপ্রবাসী ফয়সাল বলেন, ‘একদিন গল্প করতে করতে দেলোয়ার ভাইকে বললাম, এবার কাতারে বিশ্বকাপ ফুটবল অনুষ্ঠিত হবে। আমরা তো কাতার যাচ্ছি, এমন কিছু নিয়ে যাই যাতে মানুষকে আনন্দ দিতে বা দেশের কালচার তুলে ধরতে পারি।

এরপর আমরা চলে যাই নতুন হাট এলাকায়, মনিরুল ভাইয়ের আব্বার কাছে। তিনি আমার পূর্ব পরিচিত। তাকে বললাম, চাচা আমাদের মাথাল বানিয়ে দিতে হবে। উনি আমাদের মাথাল বানিয়ে দেন। যাই হোক, আমি কাতার চলে আসায় সেগুলো নিয়ে আসতে পারিনি, পরে দেলোয়ার ভাই দেশ থেকে নিয়ে আসে ও সেগুলোতে রং করেন। সেটা আপনারা আমাদের মাথায় দেখেছেন।’

আগামীতেও দেশকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টার কথা উল্লেখ করে ফয়সাল বলেন, ‘আমরা আশা করি, একদিন ফুটবল বিশ্বকাপে বাংলাদেশও খেলবে। তখন অন্য দেশের খেলায় নয়, আমরা মাঠে গিয়ে লাল সবুজের ১১ জনকে উৎসাহ দিব।’