এশিয়া কাপে নিজেদের টিকিয়ে রাখার ম্যাচে ৮৯ রানের বড় জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। এর মাধ্যমে নানা সমীকরণের এই ম্যাচে কার্যত কঠিন পরীক্ষায় ভালোভাবেই পাস করে সুপার ফোরের পথে এগোল টাইগাররা।
পাকিস্তানের লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে রোববার এশিয়ার কাপের চতুর্থ ও গুরুত্বপূর্ণ এ ম্যাচে আফগানিস্তানকে বোলিংয়ে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
মেইক শিপ্ট ওপেনার মেহেদি হাসান মিরাজ ও নাজমুল হোসেন শান্তর জোড়া সেঞ্চুরির পর শেষ দিকে অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের ক্যামিও ইনিংসের সুবাদে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৩৩৪ রান করে বাংলাদেশ। মিরাজ ১১২ করেন, ১০৪ রানে আউট হন শান্ত। ৪৫তম ওভারে উইকেটে এসে ১৮ বলে অপরাজিত ৩২ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন সাকিব।
সুপার ফোরের পথে যেতে হলে বাংলাদেশকে জিততে হতো ৫৫ কিংবা তার চেয়ে বেশি রানের ব্যবধানে। অনেকটা জটিল এই সমীকরণ মিলিয়ে ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে নেমে ৪৪ ওভার ৩ বলে সব উইকেট হারিয়ে আফগানিস্তান করে ২৪৫ রান।
‘বি’ গ্রুপে নিজেদের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানকে ৮৯ রানের ব্যবধানে হারিয়ে ২ ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয়স্থানে থাকল বাংলাদেশ। এক খেলায় ২ পয়েন্ট নিয়ে রান রেটে এগিয়ে থেকে টেবিলের শীর্ষে আছে শ্রীলংকা। প্রথম ম্যাচে শ্রীলংকার কাছে ৫ উইকেটে হেরেছিল বাংলাদেশ। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর গ্রুপের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে শ্রীলংকা ও আফগানিস্তান। ওই ম্যাচের ফলাফলের পর চূড়ান্ত হবে টুর্নামেন্টের সুপার ফোর।
আগে থেকেই ম্যাচটিতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আশা করছিলেন ক্রিকেট বোদ্ধরা। বিগত পাঁচবারের দেখায় তিনটিতেই জিতেছিল আফগানিস্তান।
বাংলাদেশ একাদশ: মোহাম্মদ নাইম, মেহেদি হাসান মিরাজ, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান, তৌহিদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম, শামীম হোসেন পাটোয়ারী, আফিফ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ ও শরিফুল ইসলাম।
আফগানিস্তান একাদশ: রাহমানুল্লাহ গুরবাজ, ইব্রাহিম জাদরান, রহমত শাহ, হাশমতুল্লাহ শাহিদি, নাজিবুল্লাহ জাদরান, মোহাম্মদ নবি, করিম জানাত, গুলবদিন নাইব, রশিদ খান, মুজিব উর রহমান ও ফজলহক ফারুকি।